গার্মেন্টস হেলপারের বেতন কত ২০২৫
আমরা জানি যে কিছুদিন আগেই বিজিএমই থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী গার্মেন্টস হেলপারের বেতন কত তা জানিয়েছে। বর্তমান একজন গার্মেন্টস হেলপারের বেতন ১২,৫০০ টাকা। বাংলাদেশের প্রধান আয়ের উৎস হচ্ছে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি। আমাদের দেশের মোট রপ্তানির ৮০% প্রায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি থেকে আসে। আসলে বাংলাদেশের অরথনিবিত হিসেবে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি গুলো কাজ করে থাকে। আপনি চিন্তা করে দেখেন যে, করোনা কালিন সময়ে এটা কিভাবে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে তা আমাদের সকলেরই জানা। সে সময় সব দিকেই ইনকাম বন্ধ হলেও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি গুলো থেকে আয়ের উৎস কিন্তু বসে থাকেনি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো একটা কাজে দিয়েছে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি।
তবে গার্মেন্টস হেলপারের বেতন নির্ভর করে থাকে ফ্যাক্টরি কোন জায়গায় অবস্থিত বা ফ্যাক্টরির আকার কেমন। তবে আগের তুলনায় বর্তমানে গার্মেন্টস হেলপারের চাহিদা অনেকটা কম। তবে বর্তমানে একজন নতুন গার্মেন্টস হেলপারের বেতন ১২,৫০০ টাকা। দিন দিন আমাদের দেশে শিক্ষিত যত বাড়ছে যুবকরা ততো বেশি বেকার হয়ে যাচ্ছে। এ যেন যুবকদের অভিসাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনও দেখা যায় যে, মাস্টার্স পাস করে কেউ রিকশা, কেউ বা আবার ড্রাইভারির কাজ করছে। অনেকেই দেখা যায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি গুলোতে কাজে নেমে পরছে নিরুপায় হয়ে। এমনকি আমি নিজেও কাজ করেছি এই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে।
গার্মেন্টস হেলপারের বেতন কত ২০২৫
বাংলাদেশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি গুলোতে একেক ফ্যাক্টরিতে একেক রকমের পণ্য তৈরি করে থাকে। নির্দিষ্ট কিছু কাজ তারা করে থাকে তার মধ্যে কিছু ফ্যাক্টরিতে শুধু টি-শার্ট আবার কিছু ফ্যাক্টরিতে জিন্স বা শার্ট তৈরি করে থাকে। সে অনুযায়ী একটা ফ্যাক্টরিতে প্রচুর পরিমানে লোক প্রয়োজন হয়ে থাকে। সুপার ভাইজার, লাইন ম্যান, কোয়ালিটি ম্যান, চেক ম্যান, কিউসি এবং হেলপার।
গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন এই পদ গুলোর জন্য কিছু নির্ধারিত শিখাগত যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। কিন্তু তার মধ্যে শুধু হেলপার পদের জন্য কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কাজের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। আর এদের বেতনও মোটামুটি ভালোই ধরা হয়ে থাকে। বর্তমান বাজার অনুযায়ী একজন হেলপারের বেতন সর্বনিম্ম ১২,৫০০ টাকা ধরা হয়ে থাকে। আপনার
গার্মেন্টস চাকরির বেতন ২০২৫
একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন পদের লোক লাগে। একেক জনের দায়িত্ব একেক রকমের হয়ে থাকে। যেমন লাইঞ্চিপ, পুরো একটা লাইন এর দায়িত্ত থাকে তার। এরকম বিভিন্ন পদের লোক বিভিন্ন রকমের কাজ সামলিয়ে থাকে। দায়িত্ব যেমন আলাদা আলাদা ঠিক তেমন বেতন ও কম বেশি রয়েছে পদ ও কাজের দায়িত্ব ভেদে। যেমন একজন হেলপার আর একজন জিএম এর বেতন কিন্তু এক হবে না এটা স্বাভাবিক। একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে একজন জিএম এর বেতন সরবনিম্ম ২ লাখ টাকা হয়ে থাকে এবং একজন হেলপারের বেতন মাত্র ১২৫০০ টাকা হয়ে থাকে। আর এটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি কতোটা উন্নত বা কতো বড় ফ্যাক্টরি সেটার ওপর আসলে নির্ভর করে থাকে।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন খাতে ভিবিন্ন পদের চাকরি রয়েছে। তার মধ্যে আমরা আজকে গার্মেন্টস চাকরির বেতন ভেদে পদের নাম উল্লেখ করব আপনাদের সাথেঃ
- প্লেন মেশিন অপারেটরঃ আপনি যদি একজন নতুন অপারেটর হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বেতন হবে ৮-১২ হাজার টাকা। আর যদি আপনার অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনি মাসে ১২-২০,০০০ হাজার টাকা বেতন পাবেন ( ওভার টাইম এবং হাজিরা বোনাস সহ )।
- কাটিং মাষ্টারঃ বর্তমানে একজন কাটিং মাষ্টারের বেতন ১৮-২৫,০০০ টাকা। তবে অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন বারতে পারে।
- কোয়ালিটি কন্ট্রোলারঃ আপনার যদি মান নিয়ন্ত্রন এবং কোয়ালিটি চেকিং এর অপরে বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনার বেতন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হতে পারে।
- সুপার ভাইজারঃ বর্তমান সময়ে একজন সুপারভাইজার এর বেতন ২০-২৫ হাজার টাকা।
- প্রডাকশন ম্যানেজারঃ অভিজ্ঞতা এবং কোম্পানির আকার ভেদে ৪০-৫০ হাজার টাকা বেতন হয়ে থাকে।
- হেল্পার/লেবারঃ বর্তমান সময়ে একজন হেলপারের বেতন ১২৫০০ টাকা।
- প্যাকিং কর্মীঃ ১২৫০০-১৫০০০ টাকা অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন বারতে থাকে।
আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, আমাদের দেশের গার্মেন্টস গুলোতে অঞ্চল এবং আকার অনুযায়ী বেতন বাড়া বা অভার টাইম, এবং হাজিরা বোনাস এর সুবিধা হয়ে থাকে।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০২৫
আমাদের বাংলাদেশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি গুলোতে আসলে গ্রেড অনুযায়ী মজুরি দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দেওয়া হচ্ছে ১২৫০০ টাকা। এমনকি তারা ওভার টাইম কাজ করে আরও বেশি পরিমানে অর্থ বা বেতন পেয়ে থাকেন। বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে রয়েছে হাজিরা বোনাসের সুবিধা। কিছু ফ্যাক্টরিতে ৫০০ টাকা আবার কিছু ফ্যাক্টরিতে ২০০ টাকা।
শেষ কথা
বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে গ্রেড অনুযায়ী একজন হেলপারের বেতন কত তা আলোচনা করা হয়েছে। এটা আসলে দেশের বিভিন্ন শিল্প এলাকার ওপর নির্ভর করে থাকে। তবে শ্রমিকদের দাবি অ্যারো বেতন তাদের বাড়ানো উচিৎ আর এটা তাদের প্রাপ্য। কারন বর্তমানে আমাদের দেশের বাজারের যে অবস্থা এরকম বেতনে একটা সংসার চালানো খুব মুশকিল।